Rafsan Bhoot Story

 

রাফসান ও সায়রার ভূতুড়ে ভালোবাসা

"সম্পুর্ণ গল্প টি পরুন"

👇👇👇👇👇



গ্রামের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুরনো বাড়ি, যেখানে সময়ের সাথে সাথে ভাঙন ধরেছে, তার মধ্যে গূঢ় রহস্য লুকিয়ে ছিল। সেই বাড়ি নিয়ে শোনা যেত অনেক গল্প—যতগুলো সত্যি, ততগুলোই কাল্পনিক, তবে একটি নাম বারবার শোনা যেত—সায়রা। সায়রা ছিল সেই বাড়ির শেষ বাসিন্দা, এক সময়ের এক মিষ্টি তরুণী, যাকে গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করত, মৃত্যুর পরেও তার আত্মা বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তার মৃত্যুর পেছনে ছিল এক অদ্ভুত ঘটনা, যেটি আজও গ্রামের লোকজনের কাছে এক অমীমাংসিত রহস্য।

রাফসান ছিল এক তরুণ, যে ছোট থেকেই রহস্যের প্রতি দুর্বল ছিল। বাড়ির কথা শুনে, সে ঠিক করল একদিন সে সায়রার বাড়ি পরিদর্শন করবে। রাফসান জানত, এই বাড়ির রহস্য যদি সে সমাধান করতে পারে, তবে সে এক নতুন জগৎ আবিষ্কার করবে। এক সন্ধ্যায়, সে বাড়ির দিকে রওনা দিল।
গ্রামের বাইরে থাকা এই বাড়িটি অনেকদিন ধরে অবহেলিত ছিল। বাড়ির চূড়ান্ত একাকিত্ব আর পরিবেশের মধ্যে এক অদ্ভুত শীতলতা ছিল। রাফসান যখন বাড়ির সামনে পৌঁছাল, তার শরীরের ভেতরটা যেন ঠাণ্ডা হয়ে গেল। বাড়িটি কিছুটা অন্ধকার, আর চারপাশের পরিবেশ আরও গা dark ় হয়ে উঠেছিল, যেন পৃথিবী ও আকাশ একে অপরকে আলাদা করে দিয়েছিল।

Ad1
বাড়ির পুরনো কাঠের দরজাটা একটু ধাক্কা দিয়ে খুলল। ভেতরের পরিবেশ একেবারে নির্জন, অন্ধকার, এবং থমথমে। তবে কিছু কিছু জায়গায়, বিশেষ করে জানালার পাশে কিছু বিচ্ছিন্ন আলো পড়ছিল, যা বাড়িটিকে কিছুটা রহস্যময় করে তুলেছিল। রাফসান আরও গভীরে এগিয়ে গেল। তার চোখে পড়ল একটি পুরনো আয়না, যেখানে সে তার নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেল, তবে সে কিছু অদ্ভুত অনুভব করছিল।
রাফসান ততক্ষণে মনে করেছিল, হয়তো বাড়িতে কোনও ভূত বা অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটছে, কিন্তু সে ভয় পায়নি। তার মধ্যে এক অদ্ভুত আকর্ষণ ছিল, যা তাকে এই বাড়ির রহস্যভেদ করতে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করেছিল। হঠাৎ, সায়রার কণ্ঠ তার কানে এল।


“তুমি কি এখানে এসেছো? কেন এসেছো?”
রাফসান চমকে ওঠে। তার চোখে রূপালি আলো ফুটে ওঠে, আর কিছুটা দূরে তাকে দেখতে পায় সায়রার অশরীরী রূপ। তার চোখের দিকে তাকিয়ে, রাফসান বুঝতে পারে, এটি কোন সাধারণ ঘটনা নয়। সায়রার চেহারায়, চোখের মধ্যে এক অদ্ভুত শূন্যতা, আর হাসিতে এক ধরনের অবর্ণনীয় দুঃখ ছিল।
“তুমি... তুমি সায়রা?” রাফসান দ্বিধা নিয়ে প্রশ্ন করল।
সায়রা আস্তে আস্তে এগিয়ে আসে, তার শরীর কিছুটা অবিশ্বাস্যভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। “হ্যাঁ, আমি সায়রা,” সে বলল, “তুমি আমাকে কেন খুঁজছো, রাফসান?”
রাফসান কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলল, “আমি শুনেছি তোমার মৃত্যুর পর এই বাড়ি নিঃশব্দ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, তোমার আত্মা এখানেই আটকা পড়েছে। আমি জানি, কিছু ভুল হয়েছে, কিছু ।”

সায়রার মুখে এক ম্লান হাসি ফুটে উঠল, “হ্যাঁ, অনেক কিছুই ভুল হয়েছিল। আমি যখন জীবিত ছিলাম, আমি ভালবাসা পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তা কখনোই পূর্ণ হয়নি। মৃত্যু আমাকে মুক্তি দেয়নি, বরং আমাকে একা রেখে গেছে।”


রাফসান গভীরভাবে সায়রার দিকে তাকাল, “তুমি কি জানো, সায়রা, আমি তোমার গল্প শুনেছি। তোমার একক জীবন... তোমার ভালোবাসা... সেই মুহূর্তগুলো কীভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিল, তা আমি জানি না। কিন্তু তুমি যদি আমাকে বিশ্বাস করো, আমি তোমার অন্তরের শূন্যতা পূর্ণ করতে চাই।"
সায়রা কিছুক্ষণ চুপ ছিল। তার চোখে একটা অদ্ভুত দৃষ্টি ফুটে উঠেছিল। "তুমি কি সত্যিই আমাকে সাহায্য করতে চাও, রাফসান? আমি জানি না, তুমি আমাকে বিশ্বাস করো কী না, কিন্তু আমি জানি, আমি আর একা থাকতে চাই না।"


এভাবে তাদের কথোপকথন চলতে থাকে। রাফসান বুঝতে পারে, সায়রার আত্মা শাস্তির মধ্যে আটকা পড়ে আছে, কারণ সে কখনোই তার ভালোবাসা পুরোপুরি অনুভব করতে পারেনি। রাফসান সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয়, সে সায়রার আত্মাকে শান্তি দিতে চায়, কিন্তু শুধু তাই নয়, সে এক অদ্ভুত রোমান্টিক সম্পর্কও অনুভব করছিল, যা তাকে জানাতেই হতো।
রাফসান তখন সায়রার কাছে এগিয়ে গিয়ে তার হাত ধরা শুরু করল। সায়রা হালকা লজ্জায় কিছুটা পেছনে সরে গেল, তবে তার চোখের মধ্যে কিছু এক অদ্ভুত আবেগ ছিল। "তুমি কী জানো, রাফসান, অনেকদিন পর... আমার জীবনের একমাত্র প্রেমিকের কাছে আমি আবার ফিরে আসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মৃত্যুর পর সে কখনোই আমাকে ফিরে পায়নি," সায়রা বলল।

Ad6
রাফসান তার হাতটি আরও দৃঢ়ভাবে ধরল এবং বলল, "তুমি জানো, সায়রা, জীবনের অনেক রহস্য থাকতে পারে, কিন্তু ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না। আমি চাই তোমার শেষ ভালোবাসা পূর্ণ হোক, তাই না হলে তুমি শান্তি পাব না।"
এরপর, রাফসান ও সায়রা একে অপরের মধ্যে সেই অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে শুরু করল। এক মুহূর্তে, সায়রা তার সব শোক আর কষ্ট ভুলে গিয়ে, তার আত্মাকে মুক্তি পেতে সহায়তা করতে রাফসানের ভালোবাসাকে গ্রহণ করল।
রাফসান তখন তার ভালোবাসা আর সাহস দিয়ে সায়রার আত্মাকে মুক্তি দিল, আর তার প্রিয়তমা সায়রা জীবনের এক অদ্ভুত ভালোবাসার শেষ প্রান্তে পৌঁছাল। সায়রার আত্মা ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়, আর সায়রার মুখে এক শান্ত হাসি ফুটে
 Continue...





Comments